
একটি স্বপ্ন
মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এর একটি কথা খুবই ভালো লেগেছে। তিনি বললেন People are the engine of development. শতভাগ সত্যি একটি কথা তিনি বলেছেন। মানুষ ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। দক্ষ জনশক্তি ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। রাইটের সাথে এই বেশকিছুদিনের জার্নিতে একটি ব্যাপার খুব ভালো করে ধরতে পেরেছি। উদ্যেক্তা হতে গেলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। আবার যেনোতেনো উদ্যোক্তা হলেও চলবে না। তাতে বেশিদিন সাসটেইন করা যাবে না। উদ্যোক্তা হতে হবে এমন, যে কিনা বাস্তবজীবনের সমস্যা নিয়ে কাজ করবে এবং তার সমাধান বের করবে। তাহলে একটি প্রশ্ন হতেই পারে, সবাই যদি সমস্যার সমাধান ই বের করে তবে তা ইমপ্লিমেন্ট করবে কে? সেখানেই উদ্যোক্তার কাজ। একজন উদ্যোক্তা একইসাথে উদ্ভাবক এবং প্ল্যানার। তাকে জানতে হবে কিভাবে তার সল্যুশনটি ইমপ্লিমেন্ট করা যায়। অবশ্যই তা ইফিশিয়েন্টলি এবং ফ্রেন্ডলি হতে হবে। তা নাহলে কনজ্যুমার লেভেলে সেটি একসেপ্টেড হবে না। একই সাথে উদ্যোক্তাকে যেকোন চ্যালেঞ্জকে সাদরে মোকাবিলা করতে জানতে হবে। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি, সেবার মান, সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসিকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
বেশকিছু কোম্পানির সিইওদের কথা শুনে একটি সাধারণ সমস্যা বুঝতে পারলাম। বেশিরভাগ কোম্পানিই ইনিশিয়ালি ফান্ড রেইজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন অথবা ফান্ড পান ই না। এক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্টে দেশে প্রচলিত আইন একটি বাধা হলেও, সবচেয়ে বড় বাধা আস্থার অভাব। আইপিও একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বক্তারা। তারা প্রকৃত এবং টেকনিক্যাল শিক্ষার উপর সরকারকে মনযোগ দিতে বলেছেন। যা অবশ্যই দরকার। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা একটি প্রজেক্ট রান করার চেষ্টা করছি। কিন্তু দক্ষ এবং অভিজ্ঞ মানুষের অভাবে সেই প্রজেক্টটি আমাদের স্থবির হয়ে আছে। একটি ব্যাপার আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে, তা হলো আপনার অপেক্ষায় পৃথিবী থেমে থাকবে না। আপনি যদি কোনকিছু নিয়ে ভাবেন, তবে আজই মাঠে নেমে পড়ুন। আপনার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করুন।
উদ্যোক্তাদের জন্য আরও একটি সতর্কবার্তা তারা দিয়েছেন, প্রোডাক্ট লঞ্চ করার পূর্বে মার্কেট স্টাডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে এমএল কিংবা বিগ ডেটা খুবই ইমপ্যাক্টফুল। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই বটগাছের নিচেই আমরা আসলাম। 'ডেটা' এই একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। একটি ব্যাপার খুবই ভালো লেগেছে সরকার ডেটার সিকিউরিটি এবং ইউজার প্রাইভেসি নিয়ে এখন সচেতন হয়েছে। অচিরেই হয়তো আমরা নিজেদের সার্টিফাইড অথরিটি দেখতে পাবো। সেই সাথে কিছু রেগুলেশনস ও দেখতে পাবো। এছাড়াও হয়তো আমরা পাইরেটেড সফটওয়্যারের অভিশাপ হতে মুক্তি পাবো। একদিন হয়তো আমরা ডিসেন্ট্রালাইজড ইন্টারনেট তৈরি করতে পারবো। আমাদের নিজস্ব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে, থাকবে নিজস্ব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, আরও থাকবে ৩৬০ ডিগ্রি অরবিটে ২০০+ স্যাটেলাইট। আমরা এগিয়ে যাবো প্রযুক্তিতে, নিরাপত্তায়, সেবায় এবং অতি অবশ্যই সততায়।অসীম অন্তরীক্ষে ডানা মেলুক আমাদের স্বপ্নগুলো।
Updated : 17th January 2020